bdstall.com

জিডিএল মোবাইলের দাম

আইটেম ১-২৬ এর ২৬

মোবাইল কেনাকাটা

বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে মোবাইল ফোন কেনার কথা ভাবলে, সবার আগে জিডিএল ফোনের কথা মাথায় আসে। বিশেষ করে যারা স্মার্টফোনের জটিলতার বাইরে শুধু কথা বলা বা বেসিক কাজের জন্য একটি সেকেন্ডারি ফোন খোঁজেন, তাদের জন্য জিডিএল মোবাইল ফোন সহজ সমাধান। বর্তমানে,  ক্লাসিক বাটন ফোন, ফিচার ফোন এবং এন্ড্রয়েড জিডিএল মোবাইল বিডিস্টলে সেরা দামে পাওয়া যায়।

জিডিএল মোবাইল এর ধরণ

বাংলাদেশে জিডিএল মূলত তিন ধরনের মোবাইল ফোন বাজারে সরবারহ করে থাকে।

  • জিডিএল বাটন ফোনঃ এগুলো হচ্ছে জিডিএলের সবচাইতে বেসিক এবং জনপ্রিয় ফোন। এই জিডিএল বাটন ফোনের দাম বাংলাদেশে সাধারণত খুবই কম হয়ে থাকে। আর জিডিএল বাটন ফোন দিয়ে শুধু কল করা, রিসিভ করা এবং মেসেজ পাঠানো যায়। এই বাটন ফোন গুলোর মূল আকর্ষণ হচ্ছে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি আর সহজে ব্যবহারযোগ্য কিপ্যাড, যা বিশেষ করে বয়স্ক লোকদের জন্য খুব উপকারী।
  • জিডিএল ফিচার ফোনঃ বাটন ফোনের চেয়ে এগুলো একটু বেশি সুবিধা প্রদান করে। যেমন - ছোট্ট একটি ক্যামেরা, অডিও শোনার জন্য এফএম রেডিও বা এমপিথ্রি প্লেয়ার, এবং টর্চ লাইট। কিছু কিছু জিডিএল ক্লাসিক ফোনে বেসিক ইন্টারনেট ব্রাউজিং সুবিধাও থাকে, তবে তা খুব সীমিত। ৪জি নেটওয়ার্ক এবং অন্যান্য ফিচার যুক্ত জিডিএল ফিচার ফোনের দাম বাংলাদেশে ১,৩০০ টাকা থেকে ২,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
  • জিডিএল এন্ড্রয়েড মোবাইলঃ যদিও জিডিএল মূলত বাটন ফোনের জন্যই বেশি পরিচিত, তবে বাজারে তাদের কিছু এন্ট্রি-লেভেলের অ্যান্ড্রয়েড ফোনও পাওয়া যায়। এই জিডিএল অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের দাম বাংলাদেশে অন্যান্য ব্র্যান্ডের এন্ড্রয়েড মোবাইল এর দামের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে। এই এন্ড্রয়েড জিডিএল মোবাইল দিয়ে ফেসবুক লাইট বা হোয়াটসঅ্যাপের মতো হালকা অ্যাপস ব্যবহার করা যায়।

জিডিএল মোবাইল কেন কিনবেন

  • জিডিএল মোবাইলের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে এর কম দাম। ২০২৫ সালে বাংলাদেশের জিডিএল মোবাইল বাজারে সবচেয়ে সাশ্রয়ী ফোনগুলোর মধ্যে অন্যতম।
  • এই মোবাইলের আরেকটি অন্যতম সুবিধা হচ্ছে  সহজ ইউজার ইন্টারফেস, যা যেকোনো বয়সের ব্যাক্তিদের ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনো জটিলতা সৃষ্টি করে না। বয়স্ক মানুষ বা যারা প্রথমবার মোবাইল ব্যবহার করছেন, তাদের জন্য এর বাটনগুলো এবং মেন্যু খুবই সহজ।
  • জিডিএল বাটন ফোন একবার চার্জ দিলে এই ফোনগুলো দিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলা যায়। এছাড়া, ২-৩ দিন পর্যন্ত সচল থাকে, যা স্মার্টফোনে ভাবাই যায় না।
  • এই জিডিএল ক্লাসিক মোবাইল ফোনগুলো সাধারণত বেশ মজবুত হয়ে থাকে। হাত থেকে পড়ে গেলেও সহজে ভাঙে না, যা রাফ ব্যবহারের জন্য দারুণ।
  • আপনার দামি স্মার্টফোনটির পাশাপাশি শুধু কল রিসিভ করার জন্য বা ইমারজেন্সি ব্যাকআপ হিসেবে একটি জিডিএল ফোন রাখা খুবই সুবিধাজনক।
  • প্রায় সব মডেলের জিডিএল ফোনে টর্চ লাইট, এফএম রেডিও এবং ডুয়াল সিমের মতো প্রয়োজনীয় সুবিধা রয়েছে।

বাজেট

বাংলাদেশে জিডিএল মোবাইলের দাম ৯৯০ টাকা থেকে ৯,৪৯০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তবে, ধরণ, মডেল, ফিচার সহ অন্যান্য বিষয়ের উপর নির্ভর করে জিডিএল মোবাইল ফোনের দাম কম বেশি হয়ে থাকে। তাছাড়া, বেশিরভাগ জিডিএল বাটন মোবাইলের দাম ১,০০০ টাকা থেকে ১,২০০ টাকার মধ্যেই হয়ে থাকে। সত্যি বলতে, একটি ভালো মানের হেডফোনের দামেও আপনি একটি জিডিএল বাটন ফোন কিনে ফেলতে পারবেন। এছাড়া, বাংলাদেশে জিডিএল এন্ড্রয়েড ফোনের দাম ৮,৯৯০ টাকা থেকে ৯,৪৯০ টাকা বা তার বেশি হয়ে থাকে। আপনার যদি বাজেট কম থাকে, তাহলে জিডিএলের চেয়ে ভালো অপশন আর নেই।

জিডিএল মোবাইলে কি ডুয়াল সিম এবং এফএম রেডিও থাকে?

হ্যাঁ, জিডিএল মোবাইলের প্রায় প্রতিটি মডেলেই ডুয়াল সিম ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। এছাড়া, তারযুক্ত হেডফোন কানেক্ট করে এফএম রেডিও শোনা যায়, যা অডিও শোনার জন্য বেশ কার্যকর।

জিডিএল ফোনে ব্যাটারি কতক্ষণ স্থায়ী হয়?

জিডিএল ফোনে বড় টাচস্ক্রিন বা শক্তিশালী প্রসেসর না থাকায়, ব্যাটারি কম খরচ হয়। মোবাইলগুলো একবার ফুল চার্জ করে অনায়াসে ২ থেকে ৪ দিন পর্যন্ত অপারেট করা যায়।

বাংলাদেশে জিডিএল মোবাইলের জনপ্রিয় মডেল কোনগুলো?

বাংলাদেশে জিডিএলের বেশ কিছু মডেল তাদের কম দাম এবং নির্ভরযোগ্যতার জন্য জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মডেল হচ্ছে জিডিএল জি৩৬, জিডিএল জি৮, জিডিএল জি৮০১, জিডিএল ওয়াই৩, জিডিএল জি৬০৫, জিডিএল জি৬০১।এছাড়া, কিছু জিডিএল ৪জি ফিচার ফোনও বাজারে পাওয়া যায়, যার ফলে বাটন ফোনেই ৪জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা যায়।