শাওমি ড্রোন কেনাকাটা
প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে শাওমি গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী উন্নত ফিচার, আকর্ষণীয় ডিজাইনের ড্রোন সরবারহ করছে। এই ব্র্যান্ডের ড্রোন উচ্চ-রেজোলিউশন ক্যামেরা, স্টেবিলাইজেশন টেকনোলজি, ব্যবহারকারী-বান্ধব কন্ট্রোল সিস্টেম, এবং এডভান্স ফ্লাইট ফিচার দিয়ে তৈরী হয়ে থাকে। শাওমি ড্রোন দামের দিকে থেকেও যথেষ্ট সাশ্রয়ী হয়ে থাকে। এরিয়াল ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি করার জন্য বাংলাদেশে বিগিনার থেকে প্রফেশনালদের কাছে শাওমি ড্রোন বেশ জনপ্রিয়।
বাংলাদেশে শাওমি ড্রোনের দাম কত?
মডেল ও স্পেসিফিকেশন উপর নির্ভর করে শাওমি ড্রোনের দাম ৯,০০০ টাকা থেকে ১৮,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। তাছাড়া, বাংলাদেশে শাওমি ড্রোনের দাম মূলত ক্যামেরার সংখ্যা, ক্যামেরার গুণমান, ড্রোনের গুণমান এবং অত্যাধুনিক ফিচার সমূহের উপর নির্ভর পরিবর্তিত হয়ে থাকে। একাধিক ক্যামেরা সেটআপ, অবস্টাকল এভয়ডেন্স সিস্টেম সহ উচ্চ রেজোলিউশনের ক্যামেরা যুক্ত এমআই ড্রোনের দাম ১২,০০০ টাকা থেকে ১৮,০০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন।
শাওমি ড্রোনের বিশেষত্ব কি?
- উচ্চ-রেজোলিউশন ক্যামেরাঃ শাওমি ড্রোনে এইচডি, ফুল এইচডি, ৪কে এবং ৮কে এর মত উচ্চ ক্যামেরা রেজোলিউশন সরবারহ করে, যা ব্যবহারকারীদের আকর্ষণীয় এরিয়াল ফটোগ্রাফি এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে সহায়তা করে। এই ধরণের ফিচার বিশেষ করে ফটোগ্রাফার এবং কন্টেন্ট নির্মাতাদের জন্য আদর্শ। যার ফলে স্বল্প বাজেটের শাওমি ড্রোন দিয়ে উন্নত মানের ভিজ্যুয়াল সংগ্রহ করা যায়৷
- উন্নত নেভিগেশনঃ প্রতিবন্ধকতা এড়ানো, ফ্লাইটের নিরাপত্তা প্রদান এবং সহজ ব্যবহার নিশ্চিত করতে শাওমি ড্রোনে ব্রাশলেস মোটর, এডভান্স স্ট্যাবিলাইজেশন টেকনোলোজি এবং থ্রি-ওয়ে অবস্টাকল এভয়ডেন্স সেন্সর সহ উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম রয়েছে। এই ধরণের ফিচার বিশেষ করে নতুনদের জন্য বা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত, যা ব্যবহারকারীদের আত্মবিশ্বাসের সাথে নেভিগেট করতে এবং ক্র্যাশের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
- কমপ্যাক্ট এবং লাইটওয়েট ডিজাইনঃ তাছাড়া, শাওমি ড্রোন পোর্টেবল এবং ওজনে যথেষ্ট হালকা হওয়ায় সহজে স্টোর করে যেকোনো জায়গায় ভ্রমণ করা যায়, যা আউটডোর অ্যাডভেঞ্চারের জন্য খুবই নিখুঁত। তাছাড়া, এই ব্র্যান্ডের ড্রোনের লাইটওয়েট ফ্রেম সহজে ফ্লাই করার জন্য শক্তিশালী কর্মক্ষমতা প্রদান করে, যা দৈনন্দিন ব্যবহারকারীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
- একাধিক ক্যামেরা অপশনঃ কিছু কিছু শাওমি ড্রোনে ট্রিপল-ক্যামেরা সেটআপ রয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে ছবি, ভিডিও ক্যাপচার করার জন্য বিভিন্ন লেন্সের মধ্যে স্যুইচ করার সুবিধা প্রদান করে। এই ধরণের ফ্লেক্সিবিলিটি বিশেষ করে ভিডিওগ্রাফারদের জন্য দুর্দান্ত, যা তাদের এরিয়াল শট নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন শট বা এঙ্গেল নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে সহায়তা করে।
- ব্যাটারি লাইফঃ বেশিরভাগ শাওমি ড্রোন দীর্ঘ ফ্লাইট সময় সরবারহ করার জন্য ১৮০০ মিলি এম্পেয়ার থেকে ৩০০০ মিলি এম্পেয়ার পর্যন্ত ব্যাটারি দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের ঘন ঘন রিচার্জ করার ঝামেলা ছাড়াই দীর্ঘসময় এরিয়াল পর্যবেক্ষণে সহায়তা করে। তাছাড়া, দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ যুক্ত শাওমি ড্রোন ব্যবহারকারীদের সামগ্রিকভাবে আকর্ষণীয় ফটোগ্রাফি, ভিডিও ক্যাপচার করার পাশাপাশি ব্যাপক পরিসরে অনুসন্ধান এবং পর্যবেক্ষণে করতে সহায়তা করে।
- ব্যবহারকারী-বান্ধব কন্ট্রোল সিস্টেমঃ শাওমি ড্রোন সাধারণত ওয়ান কি টেক-অফ এবং ল্যান্ডিং সহ স্বজ্ঞাত কন্ট্রোল সিস্টেম রয়েছে। পাশাপাশি ৫জি হাই-ফ্রিকোয়েন্সি ও ওয়াই-ফাই এর মত সংযোগ সুবিধা প্রদান করে, যা স্মার্টফোনের সাথে সংযোগ করে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, যা বিগিনার লেভেলের ব্যবহারকারীদের সহজে অপারেট করতে সহায়তা করে। এছাড়াও, এই ব্র্যান্ডের ড্রোনের টপ স্পীড প্রায় ১০-১২ কিমি/ঘন্টা হয়ে থাকে, ওয়াই-ফাই সংযোগে প্রায় ১৫০০ মিটার থেকে ৫৬০০ মিটার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই অ্যাক্সেসিবিলিটি ফ্যাক্টরটি শৌখিন থেকে পেশাদার সহ সকলের জন্য উপযুক্ত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে জনপ্রিয় শাওমি ড্রোন কোনগুলো?
বর্তমানে, শাওমি ব্র্যান্ডের প্রায় সকল জনপ্রিয় মডেলের ড্রোন বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়। জনপ্রিয় শাওমি ড্রোন হচ্ছে শাওমি এমআইজেআইএ ভি৮৮ ৮কে মিনি ড্রোন, শাওমি জেড১০১ থ্রি ক্যামেরা ড্রোন, শাওমি ভি৩০ অবস্টাকল এভয়ডেন্স মিনি ড্রোন, শাওমি জেড৯০৮ প্রো ম্যাক্স ড্রোন উল্লেখযোগ্য।
শাওমি ড্রোনের ফ্লাইট টাইম কেমন?
শাওমি ড্রোনের ফ্লাইট সময় সাধারণত নির্দিষ্ট মডেলের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। এমআই মিনি ড্রোন এর ফ্লাইট টাইম সাধারণত ২০-৪০মিনিটের মধ্যে হয়ে থাকে। তাছাড়া, পেশাদার শাওমি ড্রোন প্রায় ৬০ মিনিটের বেশি ফ্লাইট টাইম সরবারহ করে থাকে।