bdstall.com

ড্রোন এর দাম ২০২৫

আইটেম ১-৪০ এর ১০২
বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট ড্রোন এর দাম

ড্রোন কেনাকাটা

ড্রোন হল একটি রেডিও-নিয়ন্ত্রিত বিমান যা বিশেষভাবে বিনোদনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। কিছু ড্রোন উড়ার সময় লাইভ ভিডিও রেকর্ড করতে পারে এবং রিয়েলটাইমে কন্ট্রোলারে প্রেরণ করতে পারে। এই বিমানগুলিকে কখনও কখনও কোয়াডকপ্টার বলা হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার ড্রোন উড়ানোর অনুমতি দিয়েছে, তবে ড্রোন কেনা বা উড়ানোর আগে কতিপয় বাংলাদেশ ড্রোন আইন সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত।

ড্রোন কেন কিনব?

১। বিনোদনঃ বাংলাদেশে খেলনা ড্রোন পাওয়া যায় যেগুলো বিশেষ করে বিনোদনের জন্য ব্যবহার করা হয়। তাই, পরিবারের ছোট বা বড় সকলের বিনোদনের জন্য খেলনা ড্রোন কেনা যেতে পারে।

২। ফটোগ্রাফিঃ এরিয়াল ভিডিওগ্রাফি, সিনেমাটোগ্রাফি, রিয়েল এস্টেট বিজনেন, ইভেন্ট কভারেজ এবং ল্যান্ডস্কেপ ফটোগ্রাফির জন্য আকর্ষণীয় ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে ড্রোন সহায়তা করে৷

৩। নজরদারিঃ নিরাপত্তা ইস্যুতে নজরদারি বাড়াতে ড্রোন ক্যামেরা যথেষ্ট কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

৪। উদ্ধার অভিযানঃ দূরবর্তী বা বিপজ্জনক স্থানে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে ড্রোন বড় এলাকা কভার করার পাশাপাশি রিয়েল-টাইম ভিডিও ফিড, থার্মাল ইমেজিং এবং জিপিএস ট্র্যাকিং প্রদান করে উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করে।

৫। পরিবেশগত গবেষণাঃ ড্রোন ব্যবহার করে পরিবেশগত অবস্থা যেমন বায়ু, পানির গুণগত মান এবং বন্যপ্রানীদের সংখ্যা, অবস্থা যাচাইয়ে সহায়তা করে। যা পরিবেশ গবেষণা ও সংরক্ষণে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

৬। কৃষি গবেষণাঃ ড্রোন ফসলের স্বাস্থ্য গত অবস্থা, সেচ বা কীটপতঙ্গ কিংবা কীটনাশকের প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করতে সহায়তা করে।

৭। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাঃ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে যে ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি হয় তা পর্যবেক্ষণ এবং ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা শনাক্ত করতে ড্রোন কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

৮। প্যাকেজ ডেলিভারিঃ দুর্গম এলাকা কিংবা দূরবর্তী স্থানে প্যাকেজ ডেলিভারীর মত লজিস্টিক সাপোর্টে কার্যকর ভাবে ড্রোন ব্যবহার করা যায়।

৯। বিপজ্জনক স্থান পর্যবেক্ষণঃ পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রাসায়নিক ইন্ড্রাস্ট্রির মত বিপদজ্জনক স্থান পর্যবেক্ষণে ড্রোন ব্যবহার বৃদ্ধিতে কর্মীদের কাজের ক্ষেত্রে ঝুকি অনেকাংশে কমে গিয়েছে।

ড্রোন কেনার আগে কি কি বিষয় বিবেচনা করতে হবে?

ড্রোন রেগুলেশনঃ  

ড্রোন কেনার আগে স্থানীয় আইন, রেজিষ্ট্রেশন এবং ফ্লাইট সীমাবদ্ধতা সহ বিভিন্ন বিধি নিষেধ যাচাই করতে হবে। 

ব্যবহারের উদ্দ্যেশ্যঃ 

বিনোদনমূলক, নিরাপত্তা কিংবা পেশাদার ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি ইত্যাদি বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ড্রোন কেনা উচিত যা ব্যবহারের জন্য আদর্শ হবে।

ব্যাটারি ও ফ্লাই টাইমঃ 

ব্যাটারির চারজিং টাইম, অতিরিক্ত ব্যাটারি প্যাকেজের সাথে রয়েছে কিনা যাচাই করার পাশাপাশি একবার চার্জে কতক্ষন সময় ফ্লাই করা যাবে তা জেনে নিতে হবে।

ড্রোন কনফিগারেশনঃ 

রেজোলিউশন, ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন, এবং ভিডিও সক্ষমতা সহ ড্রোন ক্যামেরার অন্যান্য স্পেসিফিকেশন যাচাই করে নিতে হবে যা ভালো ছবি কিংবা ভিডিওগ্রাফি করতে সহায়ক হবে।

কন্ট্রোল রেঞ্জঃ 

ড্রোন কেনার আগে প্রয়োজনীয় দূরত্ব এবং যেকোনো পরিবেশে কাজ করতে সক্ষম কিনা তা নিশ্চয়তা পেতে ড্রোনের কন্ট্রোল রেঞ্জ এবং সিগন্যাল স্ট্রেন্থ যাচাই করতে হবে।

জিপিএস ও নেভিগেশন সিস্টেমঃ

বাছাইকৃত ড্রোনে জিপিএস, অবস্টাকল এভয়ডেন্স সিস্টেম সহ অন্যান্য নেভিগেশন সিস্টেম যথাযথ রয়েছে কিনা তা যাচাই করতে হবে। যা নিরাপদ এবং স্থিতিশীল ফ্লাইট পরিচালনা করতে সহয়তা করবে।

ড্রোনের সাইজঃ 

ড্রোন কেনার ক্ষেত্রে ড্রোনের সাইজ, ওজন এবং বহনযোগ্যতার বিষয় বিবেচনা করা উচিত যা ভ্রমণে সুবিধাজনক বহন করা যায়।

কন্ট্রোলার টাইপঃ 

কন্ট্রোলারের ধরন, লেআউট, ফাংশনালিটি এবং ইউজার ইন্টারফেস ইত্যাদি বিষয় যাচাই করে নিতে হবে।

স্পেয়ার পার্টসঃ 

ড্রোনের খুচরা যন্ত্রাংশ সহজে পাওয়ার পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামত করা সহজ হবে কিনা তা যাচাই করতে হবে।

বাজেটঃ 

পছন্দের ড্রোনটি বাজেট অনুযায়ী প্রয়োজনীয় স্পেসিফিকেশন, কার্যকারিতা এবং গুনমান সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা যাচাই করতে হবে।

কোন সাইজের ড্রোন কিনবেন?

বেশিরভাগ ড্রোন স্ট্যান্ডার্ড আকারের তবে কিছু ড্রোন ছোট আকারে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে এটি আপনার হাতে ফিট হয়। কিন্তু এর গুণমান এবং কর্মক্ষমতা স্বাভাবিক এবং পূর্ণ আকারের ড্রোনের মতোই কাজ করতে পারে। যাইহোক, আরেক ধরনের ছোট ড্রোন রয়েছে যাকে খেলনা ড্রোন বলা হয় তবে এটি মিনি ড্রোন থেকে আলাদা।

প্রফেশনাল ব্যবহারের জন্য কেমন ড্রোন পাওয়া যায়?

বর্তমানে বাংলাদেশে ড্রোন দ্বারা সিনেমেটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির বেশ প্রচলন শুরু হয়েছে। সাধারণত প্রফেশনাল ড্রোনের ফ্লাইট টাইম, স্পীড, কন্ট্রোল ডিস্টেন্স, এবং ক্যামেরা মেগাপিক্সেল তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। ফলে, প্রফেশনাল ড্রোন ব্যবহার করে হাই-রেজোলিউশনের দীর্ঘ সময়ের ভিডিও ক্যাপচার করা সম্ভব। তাছাড়া, বাংলাদেশে প্রফেশনাল ড্রোনের দাম তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।

একটি ড্রোন কত উচ্চতায় উড়তে পারে?

মডেল ভেদে ভিডিওগ্রাফি ড্রোন সর্বোচ্চ ১,২০০ ফিট উচ্চতায় উড়তে পারে। অন্যদিকে, কিছু কমার্শিয়াল ড্রোন মডেল সর্বোচ্চ ২,২০০ ফিট উচ্চতায় উড়তে পারে। তবে, বাংলাদেশে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য সর্বোচ্চ ৫০০ ফিট উচ্চতায় উড়তে পারে শুধুমাত্র এমন ভিডিওগ্রাফি ড্রোনের অনুমোদন রয়েছে।

একটি ড্রোন সর্বোচ্চ কত সময় উড়তে পারে?

ড্রোনের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি এবং কাঠামোর ভিত্তিতে এর ফ্লাইট টাইম নির্ধারিত হয়। ভিডিওগ্রাফি করার জন্য ভালো মানের ড্রোন সাধারণত ৩০ থেকে ৫০ মিনিট আকাশে উড়তে পারে। তবে, এই ড্রোনগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। এছাড়াও, বাংলাদেশে ৫,০০০ টাকা থেকে ৭,০০০ টাকার মধ্যে ভিডিওগ্রাফি ড্রোন পাওয়া যায় যেগুলো সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ২০ মিনিট আকাশে উড়তে পারে। তাছাড়া, বাংলাদেশে যেসকল খেলনা ড্রোন পাওয়া যায় সেগুলো ৫ থেকে ১০ মিনিট আকাশে উড়তে পারে এবং এগুলোর দাম সাধারণত ২,০০০ টাকা থেকে ৩,০০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

ড্রোন কি অডিও রেকর্ড করতে পারে?

বেশিরভাগ ড্রোন শুধুমাত্র ভিডিও রেকর্ডিং করতে পারে। তবে, ড্রোনের সাথে আলাদা মাইক্রোফোন যুক্ত করার মাধ্যমে অডিও রেকর্ড করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে আশেপাশের শব্দ রেকর্ড হওয়ার পাশাপাশি ড্রোনের মোটর ও পাখার নয়েজ কিছুটা রেকর্ড হবে। তাছাড়া, কিছু দামী ড্রোনে উন্নত ক্যামেরার পাশাপাশি মাইক্রফোন যুক্ত  থাকে।

ড্রোনে সাধারণত কি কি সেন্সর থাকে?

ড্রোনে মূলত অ্যাক্সিলোমিটার, টিল্ট সেন্সর, কারেন্ট সেন্সর, ম্যাগনেটিক সেন্সর, ইঞ্জিন ইনটেক ফ্লো সেন্সর, এবং ইনর্শিয়াল মেজারমেন্ট ইউনিট অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই সেন্সরগুলো ব্যতীত একটি ড্রোন সঠিকভাবে উড়তে পারে না। তাছাড়া, ড্রোনের মডেল ভেদে প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন সেন্সর যুক্ত করা হয়।

ড্রোনে কি জিপিএস থাকে?

বাংলাদেশে যেসকল ড্রোন পাওয়া যায় সেগুলোর বেশিরভাগ ড্রোনে জিপিএস থাকে। জিপিএস যুক্ত ড্রোনের বিশেষ সুবিধা হল, রিমোটের অটো রিটার্ন বাটনে ক্লিক করলে ড্রোনটি রিমোটের স্থানে ফিরে আসে। তবে, খেলনা ড্রোনে এই সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকে না। তাছাড়া, জিপিএস যুক্ত ড্রোন ৫,০০০ টাকা থেকে ১০,০০০ টাকার মধ্যে বাংলাদেশের বাজার থেকে সংগ্রহ করা যায়।

ড্রোনের পাখা ক্ষতিগ্রস্থ হলে কি রিপ্লেস করা যায়?

বেশিরভাগ ড্রোনের সাথে অতিরিক্ত পাখা অন্তর্ভুক্ত থাকে বিধায় যদি ড্রোনের পাখা ভেঙ্গে যায় অথবা ক্ষতিগ্রস্থ হয় তাহলে সহজেই রিপ্লেস করা সম্ভব। তাছাড়া, দামী ড্রোনের ক্ষেত্রে এর পাখা রিপেয়ার করানো যেতে পারে। তাই, ড্রোনের সাথে অতিরিক্ত পাখা অন্তর্ভুক্ত আছে কিনা তা দেখে কেনা উচিত। এবং, ড্রোন কেনার আগে দেখতে হবে এই নির্দিষ্ট মডেলের ড্রোনের পাখা বাংলাদেশের ড্রোন বাজারে আলাদা কিনতে পাওয়া যায় কিনা।

ড্রোন কি সাধারণত ওয়াটারপ্রুফ হয়?

ড্রোন সাধারণত ওয়াটারপ্রুফ হয় না। কিছু কিছু ড্রোন শুধুমাত্র স্প্ল্যাশ প্রুফ হতে পারে তবে তা সম্পূর্ণ রূপে ওয়াটারপ্রুফ হয় না। তাছাড়া, বিশেষ কিছু ওয়াটারপ্রুফ ড্রোন রয়েছে যেগুলো পানিতে ল্যান্ড করতে পারে, এমনকি পানিতে নৌকার মত চলতে করতে পারে। তবে, এই ধরনের ওয়াটারপ্রুফ ড্রোনের দাম খুব বেশি হয় এবং সাধারণত বাংলাদেশে বিরল।

সব ড্রোনে কি ক্যামেরা থাকে?

কিছু ড্রোন ক্যামেরা ছাড়াই আসে তবে প্রয়োজনে আলাদাভাবে ড্রোন ক্যামেরা কিনে ড্রোনের সাথে যুক্ত করতে পারবেন। তাছাড়া, বেশীরভাগ ড্রোনে মডেল ভেদে বিভিন্ন রেজোলিউশনের ক্যামেরা যুক্ত থাকে। তবে, বাংলাদেশে ৪কে ড্রোন এখন স্ট্যান্ডার্ড হয়ে উঠছে কারণ এটি উচ্চ রেজোলিউশনে খুব সুন্দর ভিডিও ধারন করতে পারে এবং সচরাচর সাধ্যের মধ্যে কিনতে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে জনপ্রিয় কি কি ব্র্যান্ডের ড্রোন পাওয়া যায়?

গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ড্রোনের চাহিদা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে ডিজে আই, শাওমি, সিয়াওকেকে, এফ৯, হুরকে, ফিমি এবং ডাহুয়া সহ জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের পাশাপাশি চায়না ব্র্যান্ডের ড্রোন বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও টয় ড্রোন, মিনি ড্রোন, এবং ৪কে ড্রোন সহ বিভিন্ন ধরণের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এবং উন্নত কনফিগারেশনের ড্রোন বিডিতে রয়েছে। পাশাপাশি জনপ্রিয় অনালাইন মার্কেটপ্লেস বিডিস্টল.কম এ বিস্তৃত পরিসরে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও মডেলের ড্রোন এভেইলেভেল রয়েছে, যার ফলে বাজেট অনুযায়ী পছন্দের ব্র্যান্ডের ড্রোনটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংগ্রহ করা যাবে।

বাংলাদেশে ড্রোনের দাম কত? 

ড্রোনের দাম সাধারণত ড্রোন ক্যামেরার গুণমান, ড্রোনের গতি এবং অন্যান্য বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে। বাংলাদেশে সর্বনিম্ন ড্রোনের দাম প্রায় ১,৭৯৯ টাকা যে ড্রোনগুলিতে কোনও ক্যামেরা ইনস্টল করা নেই এবং ড্রোন উড়ানোর জ্ঞান ছাড়াই এগুলো ছোট বাচ্চাদের জন্য আদর্শ। বাংলাদেশে ক্যামেরা ড্রোনের দাম ৪,০০০ টাকা থেকে শুরু এবং এগুলো দিয়ে এরিয়াল ভিউ ক্যাপচার করতে পারবেন যা আপনাকে এবং আপনার পরিবারের জন্য অনেক আনন্দদায়ক হবে। যাইহোক, উচ্চ মানের ক্যামেরা সহ একটি পেশাদার ড্রোনের দাম ২৫,০০০ টাকা থেকে ১৫০,০০০ টাকা এর মধ্যে যার ভিডিওগুলি দুর্দান্ত এবং পেশাদার এরিয়াল ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।    

বাংলাদেশে ড্রোন আইন

১। বাংলাদেশে ৫ কেজি কম ওজনের বিনোদনমূলক ড্রোনগুলো উড়ানোর জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয় না। এবং, এই ড্রোন উড়ানোর জন্য নির্ধারিত বয়ষসীমা নেই। তবে, বিনোদনমূলক ড্রোন গুলো ৫০০ ফিট এর বেশি উচ্চতায় উড়ানো যাবে না।

২। বাংলাদেশের বিমানবন্দর এলাকার ৩ থেকে ৫ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে সর্বোচ্চ ৫০ ফিট উচ্চতা পর্যন্ত ড্রোন উড়ানো যাবে। এবং, বিমানবন্দরের ৫ কিলোমিটার দূরত্বে ১০০ ফিট উচ্চতা পর্যন্ত উড়ানো যাবে। তাছাড়া, বিমানবন্দর এরিয়ায় ৩ কিলোমিটার এলাকার ভিতরে ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ।

৩। বাংলাদেশে ৫ কেজি ওজনের বেশি ড্রোন দ্বারা টেলিভিশন বা তথ্যচিত্রের ভিডিও ধারণ করার জন্য বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বা CAAB কর্তৃক অনুমতি নিতে হবে।

৪। বাংলাদেশে ৭ কেজি ওজনের বেশি ড্রোন উড়ানোর ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিতে হবে।

৫। বর্তমানে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

৬। যেকোনো রেস্ট্রিক্টেড এলাকায় ড্রোন উড়ানো থেকে বিরত থাকতে হবে। যেকোনো কারণে রেস্ট্রিক্টেড এলাকায় ড্রোন উড়ানোর প্রয়োজন হলে সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

৭। এছাড়া, নিষিদ্ধ এলাকা, বিমানবন্দর/ কেপিআই/ বিশেষ কেপিআই, এবং বিপজ্জনক এলাকাতে ড্রোন উড়ানো বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বাংলাদেশের সেরা ড্রোন এর মূল্য তালিকা June, 2025

2024 & June, 2025-এর বাংলাদেশের সেরা ড্রোন এর তালিকা দেওয়া হল।। বিডি স্টলের ড্রোন ক্রেতাদের আগ্রহের ভিত্তিতে এই সেরা ড্রোন এর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

ড্রোন মডেল বাংলাদেশে দাম
E88 MAX 4K Wi-Fi Dual Camera Drone ৳ ৬,৫০০
E99 RC Drone With 4K Dual Camera ৳ ৫,৫০০
E88 EVO Drone ৳ ৭,০০০
Baoniu Aerobat Four-Axis HC 702 Mini Aircraft Drone ৳ ১,৯৯৯
E99 Max Wi-Fi Return Function Drone ৳ ১১,৯০০
D30 GPS 4K Dual Camera Drone ৳ ১৩,৯৯৯
LU20 Dual Camera 4K Drone ৳ ১৬,৫০০
S85 Pro FPV 4K HD Drone ৳ ৬,০০০
998 Micro Foldable Wide Angle HD Drone ৳ ৫,০০০
S89 Dual 4K Camera WIFI Drone ৳ ৫,৫০০