bdstall.com

সাইকেলের দাম ২০২৫

আইটেম ১-৩৫ এর ৩৫
বাংলাদেশে সংশ্লিষ্ট সাইকেল এর দাম

সাইকেল কেনাকাটা

বাইসাইকেল ছেলে ও মেয়ে উভয়েরই একটি পছন্দের ব্যক্তিগত যানবাহন। বিশেষ করে স্টুডেন্ট ও যারা অল্প দুরত্বের গন্ত্বব্য নিয়মিত গমন করে থাকেন তাদের জন্য খুবই উপযোগী। এছাড়াও যারা যারা নিয়মিত সময় স্বল্পতার কারণে শারিরীক এক্সারসাইজ করতে পারেন না তারা এখন নিজেদের যাতায়াতের সময় কিছুটা ব্যায়াম সেরে ফেলতে বাইসাইকেলের দিকে ঝুকে পরছেন। তাই চলুন একটি বাইসাইকেল কিনার সহজ গাইডলাইন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

কোন ধরনের সাইকেল কিনবেন?

একটি সাইকেল কিনার শুরুতেই আপনার প্রয়োজনটা বুজতে হবে। এটা অনেকগুলো বিষয়ের উপর নির্ভর করবে যেমন আপনার বয়স, বাজেট, শারিরীক গঠন ও নিজস্ব পছন্দের উপর। তাদের মধ্যে বাজেট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আপনার পছন্দকে সীমাবদ্ধ রাখতে পারে তাই বিডস্টল ডট কম এ বাংলাদেশের সাইকেলের দাম দেখুন। বয়স ভেদে বিভিন্ন ধরনের সাইকেল রয়েছে যেমন বাচ্চাদের জন্য এক ধরনের সাইকেল এবং বড়দের জন্য আরেক ধরনের। তাই আপনার জন্য কোনটা প্রয়োজন তা ঠিক করুন। তারপর নির্ধারণ করুন আপনার বাজেট কারণ বাজেট নির্ধারণ করা থাকলে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সিধান্ত নিতে পারবেন। এরপর আপনার শারীরিক গঠন যেমন আপনার ওজন ও হাইট এই ক্ষেত্রে অনেকটা নির্ভর করে বাকিটা আপনার নিজস্ব পছন্দ যা প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রেই আলাদা। বিভিন্ন ধরনের বাইসাইকেল বাংলাদেশে পাওয়া যায় এবং মূলত দামের পার্থক্য হয় কি ধরনের সাইকেল কিনবেন।

  • বেবি বাইসাইকেলঃ ৪ থেকে ১০ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি এই বাইসাইকেল। কিছু বেবি বাইসাইকেল আকর্ষণীয় করার জন্য ঝুড়ি যুক্ত থাকে। অনেক বাইসাইকেলে ছোট বাচ্চাদের জন্য ভারসাম্য বজায় রাখতে পিছনে অতিরিক্ত দুটো চাকা যুক্ত করা থাকে।
  • লেডিস বাইসাইকেলঃ মেয়েদের সাইকেল বিশেষভাবে শুধু মহিলাদের জন্যই ডিজাইন করা হয়েছে। এই ধরণের বাইসাইকেল খুব হালকা হয় এবং রঙিন হয়। বর্তমান বাংলাদেশের বাজারে বিভিন্ন ডিজাইনের মেয়েদের বাইসাইকেল পাওয়া যায়। 
  • মাউন্টেন বাইসাইকেলঃ যদি দুর্গম রাস্তায় চলাচল করতে হয় তবে মাউন্টেন সাইকেল বেশি উপযোগী। এগুলোতে বড় টায়ার এবং উন্নত মানের সাসপেন্সন থাকে বিধায় কাঁদা মাটি, পাহাড়ি রাস্তা, এবং গ্রামের কাঁচা মাটিতে চলাচলের উপযোগী।
  • হাইব্রিড সাইকেলঃ এগুলো মাউন্টেন এবং সাধারণ বাইসাইকেলের সমন্বয়ে তৈরি বলে দাম মাউন্টেন বাইকের তুলনায় অনেক কম।
  • রোড সাইকেলঃ এগুলো বিভিন্ন স্টাইলের হয়ে থেকে যেমন সোজা, বাঁকানো এবং রেসিং স্টাইলের। দ্রুত গতিতে চলার জন্য এই সাইলেগুলো বেশ ভাল।

বাইসাইকেল চালালে যাতায়াতের পাশাপাশি আর কি সুবিধা পাওয়া যায়?

বাইসাইকেলের সাহায্যে শারীরিক কসরত হয় যথাযথ ভাবে। শরীরকে সুস্থ রাখতে রয়েছে বাইসেকেলের বিশেষ অবদান। এগুলো হলোঃ

  • ক্যালরি হ্রাসঃ সাইকেলিং-এর ফলে শরীরে থাকা অতিরিক্ত ক্যালরি হ্রাস পায়।
  • ওজন হ্রাসঃ বাংলাদেশে যাদের ওজন অনেক বেশি তারা সাইকেল চালানোর মাধ্যমে ওজন কমাতে পারেন অল্প কিছু দিনের মধ্যেই।
  • মেদ কমায়ঃ অতিরিক্ত মেদ বা ভুরি যে যা নামেই বলি না কেন এটিই হচ্ছে বাংলাদেশের শহরের মানুষের নিকট প্রধান সমস্যা। তাই অতিরিক্ত মেদ বা ভুরি কমাতে বাইসাইকেল চালনার রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব।
  • বাচ্চাদের গ্রুথ বাড়ায়ঃ বাচ্চাদের হাড় মজবুত এবং দৈহিক গ্রোথকে সতেজ রাখতে বাইসাইকেল রাখে বিশেষ ভূমিকা। আর বিশেষ করে বাংলাদেশে বাচ্চাদের খেলার জায়গা কম তাই বাইসাইকেল হতে পারে কম খরচে একটি বিকল্প।
  • ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণঃ ডায়াবেটিসের রোগীদেরকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে হাঁটতে হয় এটা সকলেরই জানা আছে। কিন্তু অনেকেই জানে না হাঁটার চাইতে বেশি সাইকেলিং করলে ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হাঁটার চাইতে বেশি সময়ও সাশ্রয় হয়।
  • উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ সাইকেল চালানোর ফলে উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। সাইকেল মানুষের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় যা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ বলে থাকেন।
  • মানসিক চাপ দূর করেঃ সাইকেল চালানোর ফলে মানসিক চাপ, হতাশা হ্রাস পায় ফলে মস্তিষ্ক থাকে শান্ত যার ফলে ব্রেইন স্ট্রোকের মতো বড় বড় সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে বাইসাইকেলের দাম কত?

বাংলাদেশে বাইসাইকেলের দাম মাত্র ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু তবে বাজেট কিছু বাড়ালে আরও ভাল মানের পাওয়া যাবে। ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি দামেরও বাইসাইকেল বিডিতে পাওয়া যায় যেগুলো অনেক হালকা কিন্তু অনেক টেকসই। এগুলো আকর্ষণীয় ডিজাইনের হয় এবং যেকোন প্রতিযোগিতায় এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে বাইসাইকেল শুধু ডিজাইন বা দামের উপর নির্ভর করে কেনা উচিত নয় এটি কিনতে হবে প্রয়োজন, বাজেট, এবং বাংলাদেশের যেখানে চালাবেন তার উপর ভিত্তি করে যেমন পাহাড়ি এলাকায় চালালে লাগবে মাউন্টেন বাইসাইকেল।

বাইসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে কি কি দেখতে হবে?

  • সাইকেলের ধরণঃ বাইসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে প্রথমত আপনার প্রাথমিক ব্যবহার যেমন দৈনন্দিন যাতায়াত, অবসর রাইডিং, পর্বত বাইকিং, অথবা রোড সাইক্লিং ইত্যাদি বিবেচনা করতে হবে। কারণ ব্যবহারের ধরণ, ভূখণ্ড এবং উদ্দেশ্যে ইত্যাদি বিষয়ের উপর নির্ভর করে বাইসাইকেল ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। বেবি বাইসাইকেল, লেডিস বাইসাইকেল, মাউন্টেড বাইসাইকেল, হাইব্রিড বাইসাইকেল এবং রোড বাইসাইকেল ইত্যাদি জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস বিডিস্টলে সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়।
  • ফ্রেম ম্যাটারিয়ালঃ বাংলাদেশে অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টীল বডি উভয় ধরণের ফ্রেমের বাইসাইকেল পাওয়া যায়। অ্যালুমিনিয়াম দিয়ে তৈরি বাইসাইকেল সাধারণত ওজনে হালকা এবং শক্তশালী হয়ে থাকে। অন্যদিকে স্টিলের বাইসাইকেল ওজনে ভারী হলেও দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার উপযোগী হয়ে থাকে। তাই বাইসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার সাথে মানানসই ওজন বিবেচনা করতে হবে।
  • ব্রেক টাইপঃ বাইসাইকেলে দুই ধরণের ব্রেক সরবারহ করে থাকে, তবে ব্রেক দামে দামের পার্থক্য হয়ে থাকে।ভেজা রাস্তার মতো প্রতিকুল পরিবেশে বাইসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে ডিস্ক ব্রেক উচ্চতর থামার শক্তি প্রদান করে থাকে। তবে, স্ট্যান্ডার্ড ব্রেকের সমন্বয়ে তৈরি বাইসাইকেল শহুরে দৈনন্দিন যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত। তবে, এই ধরণের ব্রেক চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে ভাল পারফর্ম নাও করতে পারে। তাই, বাইসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ব্যবহারের উদ্দেশ্য বিবেচনায় নিয়ে সঠিক ব্রেক বিবেচনা করতে হবে।
  • গিয়ার সিস্টেমঃ  গিয়ারযুক্ত বাইসাইকেল মূলত গতিশিলভাবে এবং ঢালু জায়াগাতে সহজভাবে পেডেলিং করতে সহায়তা করে। তাই আপনার রাইডিং স্টাইল এবং রাইডিং পরিবেশের উপর ভিত্তি করে গিয়ারের সংখ্যা বিবেচনা করতে পারেন। গেয়ার সাইকেলের দাম  সাধারণ সাইকেলের তুলনায় বেশি হয়ে থাকে, তবে গেয়ার সাইকেল বেশি সুবিধাজনক হয়ে থাকে। 
  • ফিট এবং আরামঃ আপনার উচ্চতা এবং শরীরের সাথে বাইসাইকেল যেন খাপ খায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সঠিক ফিটিং আপনাকে আরামদায়ক এবং নিয়ন্ত্রিত সাইকেলিং সুবিধা প্রদান করবে।
  • টায়ার সাইজঃ টায়ারের সাইজ মূলত হ্যান্ডলিং এবং রাইডের মানকে প্রভাবিত করে। চওড়া টায়ার রুক্ষ পৃষ্ঠে আরও ভালো গ্রিপ প্রদান করে, অন্যদিকে পাতলা টায়ার মসৃণ রাস্তায় দ্রুত চালাতে সহায়তা করে। আপনার রাইডিং অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে সঠিক সাইজের টায়ার কিনবেন।
  • অ্যাক্সেসোরিসঃ লাইট, লক এবং র্যাকের মতো প্রয়োজনীয় অ্যাক্সেসোরিস বাইসাইকেলের সাথে আছে কিনা যাচাই করতে হবে। যদি না থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজন অনুযায়ী মাউন্ট করে নিতে হবে।
  • বাজেটঃ বাইকের দাম এবং আপনার প্রয়োজনীয় যেকোনো অতিরিক্ত অ্যাক্সেসোরিস সহ বাজেট বিবেচনা করতে হবে। কারন বাইসাইকেলের দাম মূলত গুণমান এবং স্পেসিফিকেশনের উপর ভিত্তি করে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়ে থাকে।
  • ওয়ারেন্টি সার্ভিসঃ বাংলাদেশে দুরন্ত, ফিনিক্স, হিরো, ভেলোস সহ অন্যান্য জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের বাইসাইকেল পাওয়া যায়, যা যথেষ্ট নির্ভরযোগ্য এবং আকর্ষণীয় গ্রাহক পরিষেবা প্রদান করে থাকে।
  • রাইডিং এরিয়া যাচাইঃ এছাড়াও আপনি কোথায় সবচেয়ে বেশি বাইসাইকেল রাইড করবেন তা বিবেচনা করুন। বিভিন্ন ভূখণ্ডের জন্য নির্দিষ্ট ফিচার সম্পন্ন বাইসাইকেল রয়েছে। যেমন অফ-রোড রাইডিংয়ের জন্য সাসপেনশন যুক্ত বাইসাইকেল উত্তম, তবে শহরের মসৃণ রাস্তায় যাতায়াতের জন্য হালকা ডিজাইনের বাইসাইকেলই যথেষ্ট।

বাইসাইকেলের সাথে আর কী কী প্রয়োজন?

  • হেলমেটঃ বাইসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য ভালো মানের হেলমেট ব্যবহার করতে হবে। ফলে, এটি  যেকোনো দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে আপনার মাথাকে রক্ষা করবে।
  • লকঃ চুরি রোধ করতে বাইসাইকেলের জন্য শক্তিশালী লক কিনবেন। তবে, ইউ-লক এবং চেইন লক বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়।
  • লাইট এবং রিফ্লেক্টরঃ রাতে কিংবা শীতকালে কুয়াশাময় পরিবেশে আরামদায়কভাবে বাইসাইকেল চালানর জন্য সামনের এবং পিছনের দৃশ্যমানতার জন্য লাইট যুক্ত করবেন। এছাড়া, রিফ্লেক্টর ব্যবহার করতে পারেন, যা আপনাকে অন্যদের কাছে আরও বেশি দৃশ্যমান করবে।
  • সাইকেল র‍্যাকঃ বাইসাইকেলের সাথে র‍্যাক যুক্ত করে নিতে পারেন, যা আপনাকে পানি, খাবার এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের বহন করতে সাহায্য করবে।
  • পানির বোতল এবং ক্যারিয়ারঃ বিশেষ করে দীর্ঘ যাত্রায় বাইসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে হাইড্রেটেড থাকা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার বাইসাইকেলের ফ্রেমের সাথে পানির বোতল রাখার জন্য বোতল ক্যারিয়ার সংযুক্ত করে নিবেন।
  • হ্যান্ড গ্লাভসঃ সাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করতে পারেন, যা আপনাকে ভালো গ্রিপ প্রদান করে এবং ফোস্কা থেকে হাত সুরক্ষিত রাখবে।

কীভাবে সাইকেল দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহার উপোযগী রাখবেন?

  • বাইসাইকেলের ব্রেক, টায়ার এবং গিয়ার ইত্যাদি নিয়মিত চেক করতে হবে। দৈনন্দিন মসৃণভাবে সাইকেল রাইড করার জন্য নিয়মিত চেইন পরিষ্কার রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করতে হবে।
  • বাতাসের প্রভাবে আপনার সাইকেলে যেন মরিচা না ধরে তার জন্য শুষ্ক, সুরক্ষিত স্থানে রাখতে হবে। দীর্ঘদিন ব্যবহার না করলে বাইসাইকেল কভার দিয়ে ঢেকে রাখা উত্তম।
  • নিয়মিত টায়ারের হাওয়া চেক করতে হবে, চাকায় পর্যাপ্ত হাওয়া না থাকলে বাইসাইকেল চালানোর ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত কর্মক্ষমতা পাওয়া যাবে না।
  • বাইসাইকেল চালানোর পর নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। এছাড়াও, বছরে অন্তত একবার টিউন-আপের জন্য আপনার বাইসাইকেল পেশাদারের মেকানিক দিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।

বাইসাইকেল সম্পর্কে সর্বাধিক জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী

মোটর নাকি প্যাডেল সাইকেল কিনবেন?

বাজারে এই দুই ধরনের সাইকেলই বর্তমানে দেখতে পাওয়া যায়। প্যাডেল আমাদের সকলের চিরচেনা এই সাইকেলগুলোতে শুধু প্যাডেল দ্বারাই চালিত হয় তবে মোটর গুলো মূলত ইলেক্ট্রিক মোটরের সাহায্যে চলে থাকে পাশাপাশি এগুলোতে প্যাডেলও সংযুক্ত থাকে। এই মোটরগুলো চলার জন্য ব্যাটারি লাগানো থাকে যা একবার চার্জ দিলে ৩০-৪০ কিলোমিটার চলতে পারে।

অ্যালুমিনিয়াম নাকি স্টিল বডির সাইকেল ভাল?

বর্তমানে স্টিল বডির সাইকেলগুলো থেকে অ্যালুমিনিয়াম বডির সাইকেলগুলো অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। কারণ অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা তৈরি সাইকেলগুলো তুলনামূলক অনেক বেশি হালকা ও শক্ত হয়ে থাকে। এর ফলে স্টিলের তুলনায় অ্যালুমিনিয়াম সাইকেলগুলোর দামও কিছুটা বেশি হয়ে থাকে।

বাংলাদেশের রাস্তায় স্ট্যান্ডার্ড ব্রেক নাকি ডিস্ক ব্রেক উপযোগী?

স্ট্যান্ডার্ড ব্রেকের তুলনায় ডিস্ক ব্রেকগুলো অনেক বেশি ভালো ব্রেকিং নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে। এছাড়াও ডিস্ক ব্রেকের সাইকেলগুলো দেখতেও অনেক বেশি ‍সুন্দর হওয়ায় এটির চাহিদা তুলনামূলক অনেক বেশি। আর বাংলাদেশের রাস্তার জন্য ডিস্ক ব্রেক বেশি ভাল হবে কারণ এটি দ্রুত এবং নিখুঁত ব্রেকের নিশ্চয়তা দেয়।

স্যাডল কি রকম হওয়া উচিৎ?

স্যাডেল চালকের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ এবং অনেকেই এটাকে উপেক্ষা করে। এটিতে যেন চালক সহজে বসে চালাতে পারে সেই দিকে লক্ষ্য রাখা উচিৎ। এটি আরামদায়ক হতে হবে এমন নয়।

আমার কি ভাল প্যাডেল লাগবে?

হ্যাঁ, ম্যানুয়াল সাইকেলের জন্য আরামদায়ক পেডেল থাকা খুব জরুরি। প্যাডেলগুলি সাধারণত প্ল্যাটিক তৈরির হয় এবং এটি যে কোনও সময় সহজেই পরিবর্তন করা যায়। কিছু ব্যয়বহুল বাইসাইকেল প্যাডেল এর পরিবর্তে ক্লিপ থাকে যেন সহজেই আপনার পছন্দের প্যাডেল লাগিয়ে নিতে পারেন।

সাইকেলে গিয়ার কি করে?

কিছু সাইকেলে গিয়ার থাকে যেগুলো দিয়ে সর্বোচ্চ গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয় ফলে প্যাডেলের সাথে গতির সামঞ্জ থাকে এবং সাইকেল সুন্দরভাবে চলে।

বাংলাদেশের সেরা সাইকেল এর মূল্য তালিকা October, 2025

2024 & October, 2025-এর বাংলাদেশের সেরা সাইকেল এর তালিকা দেওয়া হল।। বিডি স্টলের সাইকেল ক্রেতাদের আগ্রহের ভিত্তিতে এই সেরা সাইকেল এর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

সাইকেল মডেল বাংলাদেশে দাম
Meghna Reflex Heavy Baby Balance Bicycle ৳ ৫,০০০
12" Baby Balanced Bicycle ৳ ৩,৪০০
Duranta Super Baby Balanced Bicycle ৳ ৪,৮০০
Duranta Extreme Heavy Balanced Bicycle ৳ ৫,৫০০
Phoenix Sports Durable Baby Balanced Bicycle ৳ ৪,৮০০
Phoenix Sports Baby Balanced Bicycle ৳ ৫,৩০০
Spike Jumping Sports Bicycle ৳ ৫,৮০০
Phoenix 20" Recondition Baby Bicycle without Carrier ৳ ৫,০০০
Phoenix Pinkee Color Baby Balanced Bicycle ৳ ৫,৫০০
Phoenix Sports Baby Balanced Bicycle ৳ ৫,৮০০