 প্রাকৃতিক কারণে ভূ-পৃষ্ঠ ক্ষনিকের জন্য কেঁপে উঠাকে ভূমিকম্প বলা হয়। তবে প্রধানত তিনটি কারণে ভূমিকম্প হয়। ভূপৃষ্ঠজনিত, আগ্নেয়গিরিজনিত এবং শিলাচ্যুতিজনিত। বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যেই আছে। যেকোনো সময়ই এখানে ভূমিকম্প হতে পারে। তাই আমাদেরকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ভূমিকম্পের সময় করণীয়গুলো দেখে নিনঃ
প্রাকৃতিক কারণে ভূ-পৃষ্ঠ ক্ষনিকের জন্য কেঁপে উঠাকে ভূমিকম্প বলা হয়। তবে প্রধানত তিনটি কারণে ভূমিকম্প হয়। ভূপৃষ্ঠজনিত, আগ্নেয়গিরিজনিত এবং শিলাচ্যুতিজনিত। বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যেই আছে। যেকোনো সময়ই এখানে ভূমিকম্প হতে পারে। তাই আমাদেরকে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। এক্ষেত্রে ভূমিকম্পের সময় করণীয়গুলো দেখে নিনঃ
 
* ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি ঘর বা দালান থেকে বেরিয়ে কোনো খোলা জায়গায় অবস্থান নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন বড় কোনো দেয়াল বা দালানের পাশে দাড়াবেন না। রাস্তায় দাঁড়ালে বৈদ্যুতিক তাঁর থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করুন।
 
* বহুতল ভবন থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে না যাওয়াটাই ভালো। এতে করে পড়ে গিয়ে আহত হবার সম্ভাবনা থাকে। ভূমিকম্পের সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখুন। কারণ আপনার হাতে চিন্তা করার মত যথেষ্ট সময় থাকবেনা। কাজেই ঠাণ্ডা মাথায় নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ করার চেষ্টা করুন স্বল্প সময়ের মধ্যেই। আপনার ভবনে যদি ভূমিকম্পরোধক রেট্রোফিটিং ব্যবস্থা করা থাকে তাহলে ভূমিকম্পের সময় দালানে থাকাটাই নিরাপদ।
 
* ভূমিকম্প শুরু হলে মেঝেতে বসে পড়ুন। শক্ত টেবিল অথবা অন্য কোনো আসবাবের নিচে ঢুকে পড়ুন। এতে করে ভূমিকম্পে আপনার দালান ধসে গেলেও ভাঙ্গা ইটের টুকরো বা কোনো আসবাবপত্র আপনার গায়ের উপর পড়বে না। হাতের কাছে বালিশ থাকলে মাথার উপরে ধরুন।       
 
* ভালো হয় যদি আপনি বড় কোনো পিলারের নিচে দাড়িয়ে থাকেন। ভূমিকম্পের সময় লিফট ব্যবহার করবেন না।
 
* ভূমিকম্পের পর গ্যাস এবং বিদ্যুত লাইনগুলো পরিক্ষা করে নিন কোথাও কোন লিক হল কিনা। যদি কোনো সমস্যা লক্ষ্য করেন তাহলে সাথে সাথে মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন।